আবদুল্লাহ আল মামুন:
একটি ফৌজদারি মামলা সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তির জন্য আদালত এবং প্রতিটি পর্যায়ে অ্যাডভোকেট ও পুলিশ প্রশাসনের রয়েছে অনস্বীকার্য সম্পৃক্ততা। ফৌজদারি মামলা এবং দীর্ঘ বিড়ম্বনা প্রায় দুটি সমার্থক শব্দ। আমাদের আদালতে এমন মামলা পাওয়াও বিস্ময়কর নয়, যা ১৫-২০ বছর ধরে চলছে। বিষয়টি একদিকে যেমন আসামির জন্য যন্ত্রণাদায়ক, ঠিক তেমনি যিনি মামলাটি দায়ের করেছেন, সেই অভিযোগকারীর বা এজাহারকারীর জন্য সমান যন্ত্রণাদায়ক। বিলম্বিত বিচারের প্রতিটি ধার্য তারিখেই আসামিকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। ব্যর্থতায় জামিন বাতিলের ভয় থাকে। প্রতিটি ধার্য তারিখেই তাই আসামিকে তার কেঁৗসুলির যাবতীয় দাবি পূরণ করে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। যে ব্যক্তি ১৫-২০ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিয়ে বিচারের অপেক্ষার প্রহর গুনছে, তার ওপর দিয়ে কী শারীরিক, মানসিক, আর্থিক নির্যাতন বয়ে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। আর মিথ্যা মামলা হলে তো কথাই নেই। সামাজিক বাস্তবতায় এর সংখ্যাও কম নয়। অথচ মিথ্যা মামলা দায়েরকারীকে সাজা দেওয়ার ঘটনাও বিরল।
অন্যদিকে যিনি মামলা দায়ের করেছেন, বিলম্বিত বিচারের জন্য তিনিও স্বস্তিতে থাকেন না। আমরা দেখি, একটি গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করে। অপরাধীদের আটক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। এটি এ কারণে হয় যে অপরাধটির মাত্রা, প্রকৃতি প্রভৃতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিসহ সবার বিবেককে নাড়া দেয়। তাই মানুষ বিচার চায়। দৃষ্টান্ত চায় যেন এ ধরনের অপরাধ আর কেউ করার সাহস না পায়। যেন দৃষ্টান্তটির (সাজা) কথা ভবিষ্যতে অপরাধীর মনে থাকে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা ঘটনা সম্পর্কে অবগত ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। আশা করেন, দ্রুত আসামির সাজা হবে। কিন্তু মামলার প্রতিটি পর্যায়ে বিলম্বের কারণে তার মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়। বিলম্বের কারণে উপযুক্ত সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া না-ও যেতে পারে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাম্প্রতিকতম তথ্য অনুযায়ী একজন মানুষ একটি ঘটনা এক মাস সময় পর্যন্ত হুবহু মনে রাখতে এবং বর্ণনা করতে পারে। এর পরই ধীরে ধীরে তাতে বিকৃতির সৃষ্টি হতে পারে। স্মৃতি নষ্ট বা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ফলে হয়তো অপরাধীর নিষ্কৃতির পথ প্রশস্ত হয়। যতটুকু আগ্রহ, ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়ে মামলা করা হয়, সময়ের পরিক্রমায় তা নিঃশেষ হতে বসে। সময়ের আস্তরণে স্মৃতি ফিকে হতে থাকে। ফিকে হতে থাকে ক্ষোভ, ক্রোধ ও দুঃখ। এর মধ্যে হয়তো আসামি জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদীকে হুমকি দেয়, উত্ত্যক্ত করে, সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখায়, এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে, প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় আপসও করতে বাধ্য করে_যদিও অপরাধটি হয়তো সম্পূর্ণ আপস অযোগ্য। এজাহারকারী, অভিযোগকারী তখন ভাবতে বসেন, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। যে যাওয়ার গিয়েছে। কী হবে বিচার চেয়ে? বুক চিরে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস আর চোখে জমানো অশ্রুবিন্দু। দীর্ঘশ্বাসটি প্রশ্ন তোলে আদালতের প্রতি। আর অশ্রুবিন্দুটি শুধুই ক্ষতিগ্রস্ত, হারিয়ে যাওয়া বা খুন হওয়া ব্যক্তির জন্য। কারণ আমাদের দেশে এমন উদাহরণও বিরল নয়, যেখানে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি খুন হওয়ার পর বিচার চাওয়ার কারণে সন্তানও খুন হয়েছেন। তাই প্রশ্ন জাগে, বিচারে বিলম্ব কেন হয়? কেন দ্রুত বিচার হয় না?
একটি ফৌজদারি অপরাধের বিচার করে থাকেন উপযুক্ত ফৌজদারি আদালত। তবে মামলা দায়েরের পরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত আদালতের কিছুই করার থাকে না। ফৌজদারি মামলা দায়েরের পরই শুরু হয় তদন্ত কার্যক্রম এবং আইন অনুযায়ী এই তদন্তটি করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ (নূ্যনতম একজন সাব-ইন্সপেক্টর)। ফৌজদারি কার্যবিধির ৬১ এবং ১৬৭ ধারায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো ঘটনার তদন্তের একটি বিষয় বর্ণিত আছে। এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে তারও বিধান রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই, যেখানে পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পেরেছে। অথচ পুলিশ কোনো ঘটনা ঘটার পর পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য গ্রহণ করে। তাই মামলা হওয়ার আগেই তদন্তকারী কর্মকর্তা সংঘটিত ঘটনা, সাক্ষীদের বক্তব্য, অপরাধী সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিতে পারেন। অজ্ঞাত আসামির ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তার সময় লাগতে পারে। কিন্তু জ্ঞাত আসামির ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলে বিলম্বের কোনো কারণই থাকতে পারে না। বিলম্বের কারণে অনেক সময় বিভিন্ন সুবিধাবাদী পক্ষের দ্বারা তদন্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হন। থানায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে সাধারণত মারামারি, চুরি প্রভৃতি অপরাধের মামলা মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তদন্তাধীন অবস্থায় থাকে। ডাকাতি, রাহাজানি, খুন প্রভৃতি অপরাধের মামলা হলে তো কথাই নেই। এসব মামলায় বছর দুয়েকের আগে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির চিন্তা করাও বাতুলতা।
এ কথা অনস্বীকার্য যে অপরাধীর বুদ্ধিমত্তার ওপর নির্ভর করে মামলাটি জটিল কি না। একটি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে চিকিৎসক, রাসায়নিক পরীক্ষক, হস্তরেখাবিদ_এসব ব্যক্তির ওপরও নির্ভর করতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি যদি বিলম্ব করেন, তবে পুলিশের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন।
আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে পুলিশই কাজের কাজি। দেশে অপরাধ তদন্তের জন্য আমাদের পৃথক কোনো শাখা নেই। তাই পুলিশকেই আসামি ধরতে হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়, প্রটোকল ডিউটি করতে হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়, হরতালে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এত সব কাজের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের জন্য কতটুকু সময় পান, তা বলাই বাহুল্য। শত প্রতিকূলতার মধ্যে তাঁদের কাজ করতে হয়। বর্তমানে প্রতিটি থানায় তদন্তের জন্য একজন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজ করলেও তদন্ত করতে হয় সেই সাব-ইন্সপেক্টরদের, যাঁরা একই সঙ্গে ওপরের কাজগুলো করে থাকেন। পুলিশ বেঙ্গল রেগুলেশনের প্রবিধান নম্বর ২৬১(খ)-তে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে যে সঠিকভাবে ১৭৩ ধারা অনুসরণ করলে জটিল মামলার তদন্ত সমাপনেও ১৫ দিনের বেশি লাগার কথা নয়। অথচ দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের কোথাও তদন্ত সম্পন্নের জন্য কোনো যুক্তিসংগত সময় নির্ধারণ করা হয়নি। তাই অনেক দুর্ধর্ষ আসামিও এই দুর্বলতার জন্য ১৬৭(৫) ধারা অনুযায়ী জামিনে মুক্তি পেয়ে থাকে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি ১৮০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হয়, তবে দায়রা আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে জামিনে মুক্তি দেবেন। যদি না দেন, তবে না দেওয়ার কারণ বিশদভাবে উল্লেখ করবেন। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্পাদনের জন্য মামলার ধারা অনুসারে পুলিশ বেঙ্গল রেগুলেশন, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর প্রভৃতিতে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করা উচিত। সুনির্দিষ্টভাবে সময়ের উল্লেখ থাকলে এ ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার যেমন বাধ্যবাধকতা থাকত, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঠিক তেমনি সময় অতিক্রান্ত হলে আদালতও উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারতেন। আমাদের কিছু আইনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করা আছে। উদাহরণস্বরূপ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ (৭ কার্যদিবস) এবং নারী ও শিশু নির্র্যাতন দমন আইন ২০০০-এর (৫৪ কার্যদিবস বা ১২২ কার্যদিবস) কথা উল্লেখ করা যায়। দুটি আইনই বিশেষ আইন। তাই তদন্তকারী কর্মকর্তা উভয় আইনের তদন্ত প্রতিবেদন আইনগুলোতে উলি্লখিত সময়ের মধ্যে দাখিল করে থাকেন। কিন্তু পেনাল কোড বা অন্যান্য আইনে_যাতে সময়ের উল্লেখ নেই, সেসব আইনের ক্ষেত্রে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে তদন্তকারী কর্মকর্তার গড়িমসি লক্ষ করা যায়।
তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর শুরু হয় আদালতের ভূমিকা। তদন্ত প্রতিবেদন পছন্দ না হলে অভিযোগকারী বা এজাহারকারী দিয়ে বসেন ‘নারাজির দরখাস্ত’। এই দরখাস্তের শুনানি করতেও অনেক সময় লেগে যায়। কারণ চতুর মামলা দায়েরকারী হয়রানি করার জন্য সময় চেয়ে বসেন। চতুর মামলা দায়েরকারীর আইনজীবীও দীর্ঘসূত্রতায় ভূমিকা পালন করে থাকেন। নারাজির দরখাস্ত যদি মঞ্জুর করা হয়, তবে তা পুনরায় অধিকতর তদন্তের জন্য চলে যায়। মামলা তখন ঝুলতে থাকে। এরপর আসামি যদি পলাতক থাকে, তবে তার প্রতি ওয়ারেন্ট, হুলিয়া, ক্রোকি পরোয়ানা, সবশেষে পেপার বিজ্ঞপ্তি প্রভৃতি প্রেরণ করা হয়ে থাকে। ওয়ারেন্ট প্রভৃতি থানায় যাওয়ার পর কী হয়, তা ভুক্তভোগীদের সবারই জানা। এত সব পর্যায় পার হওয়ার পর হয় চার্জ শুনানি, যাতে প্রসিকিউশন ও আসামি উভয় পক্ষ থেকে ক্রমাগত সময়ের দরখাস্ত দেওয়া হয়। এ পর্যায়ে অধিকাংশ সময়ই কেঁৗসুলি শুনানির জন্য প্রস্তুত থাকেন না। অভিযোগ গঠন করার পর হয় সাক্ষী তলব। এই সাক্ষ্য পর্যায়েই দেরি হয় সবচেয়ে বেশি। পুলিশকেই প্রসিকিউটর হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে হয়। পুলিশ যদি সাক্ষী উপস্থিত না করে, তবে আদালতের কিছুই করার থাকে না। সাক্ষীর প্রতি অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রেরণ করা হলেও অনেক সময় তা জারি করা সম্ভব হয় না। কারণ সময়ের দীর্ঘ-পরিক্রমায় সাক্ষী হয়তো এলাকা ত্যাগ করেছেন। তদন্তকালে প্রাপ্ত ঠিকানায় তিনি নেই। তাই বর্তমান ঠিকানা জানা না থাকায় প্রেরিত সব পরোয়ানা বিনা জারিতে ফেরত আসে। সরকারি চাকুরে সাক্ষীদেরও উপস্থাপন করতে বেগ পেতে হয়। এ সময়ের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা, চিকিৎসক অন্যত্র বদলি হয়ে যান। তাদের পাওয়া যায় না। আবার সাক্ষী হাজির হলে রাষ্ট্রপক্ষের গাফিলতিতে ফেরত পাঠানো হয়। এসব কারণে বিচার বিলম্বিত হয়।
ফৌজদারি মামলা দায়ের থেকে রায় পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে রয়েছে সময়ক্ষেপণের সুযোগ। আদালতের পক্ষে কখনোই একটি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়, যদি সাহায্যকারী, ভূমিকা পালনকারী অন্যান্য কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করে। পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুসারে ৭৫ ভাগ মামলা আদালত কর্তৃক আসামিকে ‘খালাস’ প্রদানের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়, যার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে দুর্বল তদন্ত ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্বকে। যে পরিমাণ অপরাধ সমাজে হয়, তার খুব কম সংখ্যকই আদালতে আসে। কিন্তু সেখানে যদি এ অবস্থা হয়, তবে ব্যবস্থাটিই ভেঙে পড়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। আদালতকে পুলিশের ওপর নির্ভর করতে হয় বলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরই উচিত মামলার তদারকিতে অধিকতর জোরালো ভূমিকা পালন করা। এ ক্ষেত্রে সহকারী পুলিশ সুপার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সর্বোপরি পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার মামলা তদারকিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, পুলিশ বেঙ্গল রেগুলেশন প্রভৃতির বিধানগুলো যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব। দীর্ঘ বিলম্বের কারণে হতাশাচ্ছন্ন সমাজের প্রতিমূর্তিই যেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণপিটুনি প্রভৃতি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য অনেক সময় পুরো ব্যবস্থারই দীর্ঘসূত্রতাকে দায়ী করা হয়। প্রত্যেক অপরাধীই যেন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক বিচার পায়; যা সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থারই প্রতিবিম্ব। যত দিন মানুষ থাকবে, তত দিন বিচারব্যবস্থা থাকবে। কতিপয় মানুষ আইনও ভঙ্গ করবে। কিন্তু আইনই যেন সেই অপরাধীর বিচার করে। প্রতিটি মানুষই যেন বুঝতে পারে যে ‘ন্যায়বিচার’ করা হয়েছে। যা শুধু আদালত, পুলিশ প্রশাসন, কেঁৗসুলি প্রভৃতি বিভাগের পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, সমঝোতা এবং সহযোগিতারই মাধ্যমে সম্ভব হতে পারে।
লেখক : গবেষণা কর্মকর্তা
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
Discussion about this post