আদালতের জরিমানার অর্থ আদায়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বগুড়ার জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার এসএম জাকির হোসেন। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এবং মামলাটির অবৈধ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে স্থানীয় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হাসান মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মৌসুমী রহমান।
এর আগে নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টের এক মামলায় দুদু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ১৪ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বগুড়ার আদালত। পরবর্তীতে তিনি ছয় মাস সাজা খেটে কারামুক্তি পান। তবে, তাকে জরিমানা করা অর্থ আদায়ের জন্য তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা হয়। সে মামলায় নতুন করে ওয়ারেন্ট জারির পর দুদু মিয়াকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট গ্রেফতার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে জামিন দেয়ার এখতিয়ার নেই মর্মে দুদু মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বগুড়া জেলার সার্টিফিকেট অফিসার।
এরপর ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন এবং মামলার বৈধতা নিয়ে রুলও জারি করেন।
একইসঙ্গে, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জামিন দেয়া হয়। পাশাপাশি ওই সার্টিফিকেট অফিসার এসএম জাকির হোসেনকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হয়ে মুক্তি না দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
ওই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় আজ জাকির হোসেন হাইকোর্টে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হন এবং তার কার্যক্রমের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
অ্যাডভোকেট মৌসুমী রহমান বলেন, ‘আদালত কর্তৃক জারিকৃত জরিমানার টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৮৬ ধারা অনুসারে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের মামলা করতে হয়। এক্ষেত্রে সার্টিফিকেট মামলার সুযোগ নেই। তাই ওই রিট দায়ের করা হয়।’
Discussion about this post