বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
দুর্নীতির মাধ্যমে বগুড়া আইনজীবী সমিতির আইনজীবীদের বেনাভোলেন্ট ফান্ডের ৫ লাখ ২৩ হাজার ৬২৫ টাকা আত্মসাতের দায়ে বগুড়া বারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিন আইনজীবী।
তারা হলেন, বগুড়া অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফে গালিব আল জাহিদ ও সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক। তারা জীবনে আর কখনো বার সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
বুধবার সন্ধ্যায় বগুড়া বারের গওহর আলী ভবনে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক। সভাটি বুধবার রাত আটটা পর্যন্ত চলে। সভায় বলা হয়, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে আইনজীবীদের বেনাভোলেন্ট ফান্ডের ৫ লাখ ২৩ হাজার ৬২৫ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ কারণে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা অনতিবিলম্বে তাকে পরিশোধ করতে বলা হয়। এছাড়াও অন্য দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় আগামী সাতদিন তারা বগুড়ার আদালতে আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
এছাড়াও বিগত সময়ে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম টুকু, অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী এবং অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তাদের বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে কথা উঠলে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু, অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান ও অ্যাডভোকেট জিএম খায়রুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাধারণ সভায় তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্তে অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে বর্তমান কমিটি
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বগুড়া জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট পিপি আব্দুল মতিন, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু, অ্যাডভোকেট লুৎফে গালিব, অ্যাডভোকেট আশেকুর রহমান সুজন, অ্যাডভোকেট নরেশ মূখার্জী. অ্যাডভোকেট মেশকাতুল আলম চিশতী।
Discussion about this post