ডেস্ক রিপোর্টঃ
বরগুনার আমতলী পৌর আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য (হলদিয়া-পঁচাকোড়ালী-আড়পাঙ্গশিয়া) অ্যাডভোকেট আরিফুল হাসানকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে আমতলী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরা পারভীনের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়।
তবে আটকের কারণ জানাতে রাজী হননি ইউএনও মুনিরা পারভীন।
তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, শহরের সবুজবাগ লঞ্চঘাট এলাকায় কয়েকজন পুলিশ নিয়ে অভিযান চালাচ্ছিলেন ইউএনও মুনিরা। অ্যাডভোকেট আরিফ ইউএনওকে দেখতে পেয়ে সালাম দেন। এর পরই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফকে গালাগাল শুরু করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিএম মুছা বলেন, ‘‘আরিফ সালাম দেওয়ার পরই হঠাৎ ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ইউএনও। তিনি আরিফকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘ আমার বিরুদ্ধে মানবন্ধন করিস এত সাহস তোর।’ এ কথা বলার পরই আরিফকে আটকের জন্য সাথে থাকা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ আরিফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।”
তবে বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিরা পারভীন মুঠোফোনে আরিফকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে আটকের বিষয়টি তাকে জানানো হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হেলাল উদ্দীন জানান, ইউএনওর নির্দেশে আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে বিস্তারিত আপনাদেরকে পরে জানাবো।’
এদিকে আরিফকে আটক করার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পৌর যুবলীগ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এসময় পৌর যুবলীগ তার মুক্তির দাবি জানায়। সূত্রঃ রাইজিংবিডি।
Discussion about this post