বিডি ল নিউজঃ শিশুদের কথা চিন্তা করে এবং পাশাপাশি শালীনতা বজার রাখার উদ্দেশ্যে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) সিনেমায় ৩০টি শব্দ প্রয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেন্সর বোর্ডের এ সিদ্ধান্তে তোলপাড় শুরু হয়েছে বলিউডে। নিষিদ্ধের তালিকায় ইংরেজি ও হিন্দি দুই ধরনের শব্দ রয়েছে। এর মধ্যে আছে বাস্টার্ড, সান অব বিচ, ফ-ক, বিচ, হারামজাদা, মাদার-দ, শালী। এ ছাড়া যৌন ইঙ্গিত মূলক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত মারনা, বাজানা, পাতনা, দেনাসহ আরও কিছু শব্দ রয়েছে এ তালিকায়। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও দ্ব্যর্থক শব্দেও আপত্তি জানানো হয়েছে।
ভারতের একটি অনলাইন কলকাতা ২৪x৭ জানায়, এই নিয়ে সেন্সর বোর্ডেও মতবিরোধ রয়েছে। সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও ইন্ডিয়ান ফিল্ম এ্যান্ড টিভি ডিরেক্টরস এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অশোক পণ্ডিত বলেন, ‘আমি নিজেও একজন সিনেমা নির্মাতা। একটি চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে এ সব নিয়ম মানা যায় না। একজন পতিতাকে এখন কি প্রফেসরের মতো কথা বলতে হবে?’
একই বিষয়ে চটেছেন পরিচালক মহেশ ভাটও। তিনি বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড যা চায় করতে পারে। তবে সিনেমার কোনো তালা নেই, দরজা নেই, ছিটকিনিও নেই, যে জোর করে বন্ধ করা যাবে। সিনেমা তো মানসিক ভাবের বহিঃপ্রকাশ। তাই মনকে বন্ধ করবে কী করে! এই যুদ্ধে সেন্সর বোর্ড কোনো দিনই জিততে পারবে না। কারণ এটা ভারত— চীন বা সৌদি আরব নয় যে ফতোয়া জারি করে মত প্রকাশের অধিকার বন্ধ করা যাবে।’
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন পূজা ভাটও। তিনি বলেন, ‘সিনেমা বানানোর ক্ষেত্রে এটি সিবিএফসিররীতিমতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ। আমরা রিভাইজিং কমিটির কাছে যাব এবং প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাব। এই সীমাবদ্ধতা নিয়ে অনেকেরই সমস্যা না থাকতে পারে, কিন্তু আমার রয়েছে।’
Discussion about this post