বিডি ল নিউজঃ
বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রায় আড়াই লাখ পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিধায় রয়েছে পাকিস্তান। এই পাকিস্তানিদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে-কি-হবে না, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ২০০৯ সালের একটি পিটিশনের শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভা বিভাগ ওই পিটিশনের বিষয়ে যথাযথ যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অধিকাংশ পাকিস্তানি এদেশ ছেড়ে চলে যায়। নানা কারণে বাংলাদেশে এখনো ২ লাখ ৩৭ হাজার পাকিস্তানি থেকে গেছে। তাদেরকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করা দুটি সংস্থার পক্ষে ২০০৯ সালে একটি পিটিশন করেন অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক কাজি।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তা না হলে, বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের তলব করা হবে।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সোহাইল মোহাম্মদ আদালতকে জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভা বিভাগে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংশোধিত ‘পাকিস্তান নাগরিক আইন ১৯৫১-এর ১৬-এ’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশে যেকোনো উদ্দেশ্যে বসবাসকারী পাকিস্তানিরা দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া ১৯৭৮ সালে এই আইন কার্যকর হওয়ার পরেও যারা দেশে ফিরে আসতে পারেনি, তারা চাইলে একই আইনের সুযোগে পাকিস্তানে ফিরে আসতে পারবে।
এদিকে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা বিভাগের পরিচালনক আদালতকে এই মর্মে অবহিত করেন, বাংলাদেশের হাইকোর্ট ২০০৩ সালে বাংলাদেশে থেকে যাওয়া পাকিস্তানিদের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টও তাতে অনুমোদন দিয়েছেন।
তথ্যসূত্র : ডন অনলাইন।
Discussion about this post