নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে তাসলিমা বেগম রেণুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজু আহমেদ, মুরাদ, বিল্লাল, আসাদুল ইসলাম ও সোহেল রানা। গ্রেফতারদেরকে আজ আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বুধবার রাতে বাড্ডার বিভিন্ন এলাকা থেকে গণপিটুনির ভিডিও ফুটেজ দেখে এই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, রেণু হত্যা মামলায় এর আগে আরও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হল।
গুজব ছড়ানো নারীকে খুঁজছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রধান হোতা হৃদয় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এ গণপিটুনিতে অংশ নেয়া কয়েকজনের নামও প্রকাশ করেছে সে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
শনিবার সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম রেনু। তার দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের গেটে কয়েকজন নারী তাসলিমার নাম-পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা চারশ থেকে পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন।
নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন তাসলিমা। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১১ বছরের এক ছেলেও আছে নিহত তাসলিমার।
Discussion about this post