নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় পরবর্তী বিচারের জন্য নথি সিএমএম বরাবর প্রেরণ করেন।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। অপরদিকে কিরণের বিদেশে না যাওয়ার জন্য যে আবেদন করা হয়েছে তার আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২ এপ্রিল মামলাটির শুনানির জন্য ধার্য তারিখ ছিল আজ। ওইদিন কিরণ আদালতে উপস্থিত হননি। কিরণের আইনজীবী তার জামিন বৃদ্ধি চেয়ে একটি আবেদন করেন। অপরদিকে, কিরণের জামিন বাতিল চেয়েও আবেদন করেন বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার রেফায়েতুল করিম লেলিন। আবেদনগুলোর ওপর শুনানির জন্য আজ ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
১৬ মার্চ কিরণের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান। ১৯ মার্চ ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী।
গত ১২ মার্চ মামলা আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হীন মানসিকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বিএফএফ), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বাংলাদেশ ফুটবল সংগঠকদের মানহানির উদ্দেশে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, পিএম (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) হিসেবে সব খেলাই তার কাছে সমান। সেখানে কেন দু’চোখে দেখবে? মেয়েরা ব্যাক-টু-ব্যাক চ্যাম্পিয়ন। গিফট তো পরের কথা, অভিনন্দন তো দিতে পারে, মিডিয়ায় কি কোনো অভিনন্দন জানাইছে? বিএফএফের টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে দেয়াব? বিসিবির অনেক স্বার্থ আছে। বিসিবি সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট পেয়ে যায়, গাড়ি পেয়ে যায়। বিএফএফ সরকারের কাছ থেকে কোনো ফ্যাসিলিটিজ নেয় না।’
কিরণের এমন বক্তব্য বেসরকারি টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়। তার এমন বক্তব্যে বাদীর ৫০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে মর্মে আদালতে মামলাটি করা হয়।
গত ১২ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিন বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ১৬ মার্চ ধানমণ্ডি থেকে কিরণকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Discussion about this post