নিজস্ব প্রতিবেদক
গত কাল (২৯, মে) রাত ১১: ১০ মিনিটে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ।
২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশী এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এবার বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৩৩৫ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এছাড়াও বার কাউন্সিলের রেজাল্ট সিটে ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট অপ্রকাশিত অবস্থায় শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর প্রকাশ করে উল্লেখ করেন, রেজাল্ট সিটে ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার্থীর খাতা ৩য় পরীক্ষকের কাছে মূল্যায়নের জন্য অপেক্ষামান রয়েছে ।
আগামী ২ থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ২৩০ জন লিখিত পরীক্ষার্থীর চুড়ান্ত ফলাফল বার কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে ।

এছাড়াও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল উক্ত নোটিশে ১৭৫২২ নম্বর রোল উল্লেখিত পরীক্ষার্থীকে বার কাউন্সিলের সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার জন্য তাকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় / উইথহেলড রাখা হয়েছে।
২০১০ সাল পর্যন্ত বছরে দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠান করতো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। তবে ২০১১ সালের পর থেকে আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষা তিন ধাপে (নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক) অনুষ্ঠানের বিধান করা হয়। তবে পিছিয়ে পড়ে বছরে দুটি করে পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম। ফলে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার আইন শিক্ষার্থীর জট তৈরি হয়।
প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী এ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবীদের সনদ পেতে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যেকোনো একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তবে দ্বিতীয়বারেও অনুত্তীর্ণ হলে তাদের পুনরায় শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশী এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ঘোষণা করা হবে আইনজীবী তালিকাভুক্তির চূড়ান্ত ফলাফল।
Discussion about this post