সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ত্রিধারায় বিভক্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এই কোন্দল নিরসন হয় বলে জানা গেছে। এসময়ে বিভক্ত আইনজীবীদের হাতে হাত রেখে এবং ফটোশেসন করে সকলের মান অভিমানকে দহৃর করেন নেতারা। বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিষ্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপি নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল, ব্যারিষ্টার রুমিন ফারাহানা, অ্যাডভোকেট ফাহিম আক্তার সহ বিএনপিপন্থি তিন প্যানেলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঐক্যবদ্ধ প্যানেলের বিষয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, তাদের মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আইনজীবীদের সঙ্গে বসে এ সমস্যা সমাধান করেছেন বলেও তিনি জানান।
অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার) নির্বাচনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একক প্যানেল নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্যানেলে সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন রয়েছেন। নিজেদের মধ্যে সকল ভূল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলেও তিনি জানান।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার) নির্বাচনে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থিত ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল’ ঘোষণার পরদিন বুধবার বিদ্রোহী অপর একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এ বিদ্রোহী প্যানেল মনোনয়ন বঞ্চিতের অভিযোগ এনে পাল্টা প্যানেল ঘোষণা করে।
এর পরদিন বৃহস্পতিবার বিএনপিপন্থী আরও একটি (তৃতীয়) প্যানেল ঘোষণা করা হয়। বিএনপির সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা করা ওই প্যানেলের সম্পাদক হলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবুল বাশার। এই প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শামসুল জালাল চৌধুরী ও অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবিনা ইয়াসমিন লিপি। তবে অন্য কোন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি তারা।
– ”মিহির মিশকাত”।
Discussion about this post