বিডিলনিউজ: জামিনের আবেদন খারিজ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ ৮ নেতাকে কারাগারে দিয়েছে আদালত। গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের পৃথক ৭ মামলায় তাদের কারাগারে দেয়া হয়। অন্যরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইসচেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, দুই যুগ্মমহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু ও রুহুল কবির রিজভী, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্র বিযয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এমপি। এদিকে রিজভী আহমেদ আগেই কারাবন্দি। আটককৃত নেতাদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী মঙ্গল ও বুধবার সকাল-সন্ধ্যা টানা ৩৬ ঘন্টা হরতালের ডাক দিয়েছে ১৮ দলীয় জোট। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্মমহাসচিব সালাহউদ্দিন আহম্মেদ এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এদিকে হরতাল ঘোষণার পরপরই রাজধানীতে বেশ কিছু গাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
২ মার্চ নয়াপল্টনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও সহিংসতা ঘটনা এই ৭ মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিলো পল্টন থানায় ৪টি, শাহজানপুর থানায় ১টি, রমনা থানায় ২টি মামলা। উচ্চ আদালত থেকে বিএনপি নেতাদের আগাম জামিন নেয়া ছিল। গত শনিবার এই জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তারা গতকাল নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। রোববার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও আসাদুজ্জামান নূর পৃথক তিন আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে নেতাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিনের শুনানীতে অংশ নেন- ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার প্রমুখ।
Discussion about this post