ফয়সল আরেফিন দীপন, রাজীব, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়, সাগর-রুনি সহ অসংখ্য ব্লগার, সাংবাদিক হত্যায় মামলা হয়েছে আদালতে, মিটিং-মিছিল হয়েছে রাজপথে, কালি-কলম খরচ হয়েছে কাগজে, টকশোতে ফেটে যাচ্ছে টিভি পর্দা, স্ট্যাটাস বিপ্লব চলমান কিন্তু তদন্ত? বিচার?
ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলাটি গত ১৪ বছরেও কিছু হয়েছে? দেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিচার হয় না কেন? বগুড়ায় মসজিদে গুলি বর্ষণের ঘটনা, খ্রিস্টান ধর্ম যাজকদের ওপর হামলার বিচারের কোন খবর আছে? এসব হামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে যায় না কেন? কিন্তু কাকে দোষারোপ করবেন এ বিচার প্রক্রিয়ার জন্য ? বিচারে দীর্ঘসূত্রীতা বিচার না পাওয়ারই নামান্তর (Justice delayed is justice denied)। এ বিচার জাগিয়ে রাখার কিংবা দীর্ঘসূত্রিতার অপসংস্কৃতি কেন?
এটা নিয়ে কোন গবেষণা কেন নয়! ইহা কি গুপ্ত হত্যা-উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ মোকাবেলার প্রশ্নে আমাদের অনীহা প্রকাশ করে না তো! মুহম্মদ জাফর ইকবাল আজ সিলেটে এক আক্রমণে ছুরিকাহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে একজনকে। এর বিচার হবে তো! না শুধু রাজনৈতিক বুলি ছুড়বো?
তদন্তের সুযোগ না দিয়েই মনগড়া রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে পায়দা লুটার প্রতিযোগিতায় নামবো?পুলিশ কি ৭৮ হাজার রাজনৈতিক মামলার পিছনে দৌড়াবে নাকি এসবের তদন্ত করবে? রাজনৈতিক মামলার কারণে স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার সময় অপচয় দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম কারণ নয় কি? বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি অপরাধে উৎসাহ জোগায়। আসুন এমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে জাতিকে মুক্ত করি। সস্তা রাজনীতি নয়, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করি। বাণী দিয়ে বিচার বিচার চলে না।
লিখকঃ এডভোকেট এম টি উল্যাহ।
Discussion about this post