ডেস্ক রিপোর্ট
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগের বড় বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলে হয়েছে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট দিবস উদযাপন সংক্রান্ত জাজেস কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তা, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, গোটা বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতেও প্রধান বিচারপতি জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগকে সচল রেখেন। এ জন্য প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মহামারিজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। প্রথমে গতবছর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ করা হয় পরে সেটি আইনে পরিণত করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের চলার পথ মসৃন ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে হত্যার পর সে ঘটনার বিচারের পথ বন্ধে ইনডেমনিটি করা হয়েছিল। পিতা হত্যার বিচারের দাবিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর সুপ্রিম কোর্টে বহুবার এসেছেন। তখন তার ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কেঁদেছে।সেদিন সুপ্রিম কোর্টে উপলব্ধির প্রয়োজন ছিল যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও সংগ্রামে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা। সে কারণে বিচারক পদে অনেকে বসতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, সব অপচেষ্টাকে পেছনে ফেলে আজ বিচার বিভাগ সুদৃঢ় অবস্থানে। এটি শেখ হাসিনার অবদান। শেখ হাসিনা বিচার বিভাগকে আপন করে নিয়েছেন। বিচার বিভাগের উন্নয়নে শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার শাসনামলে সুপ্রিম কোর্ট অ্যানেক্সভবন নির্মাণ, বিচারপ্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, আইন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের আইনগত ভিত্তিও শেখ হাসিনার শাসনামলে হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অধস্তন আদালত হলো বিচার বিভাগকে কার্যকর রূপ দেওয়ার অনন্য প্রতিষ্ঠান। গণতন্ত্র বিকাশ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এই দুইয়ের ভূমিকা ব্যাপক।
তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগের উন্নয়নে বিচারক সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানাহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বিচার বিভাগে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্ট দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Discussion about this post