ডেস্ক রিপোর্ট:
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি, সাবেক আইন মন্ত্রী, সিনিয়র এডভোকেট জনাব আব্দুল মতিন খসরু আজ বিকাল ৪:৪৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর গত ১৬ মার্চ থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন জনাব মতিন খসরু। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ায় গত ২৮ মার্চ আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল তাকে। পরে অবস্থার উন্নতি হলে গত ৩১ মার্চ তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ছয়দিনের মাথায় গত ৬ এপ্রিল তাকে ফের আইসিইউতে নেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।
জনাব আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম, তারা চার ভাই এক বোন আব্দুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে এক মেয়ের জনক।
তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। ২৫৩ নং (কুমিল্লা-৫) আসন থেকে ৫ বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছিলেন জনাব মতিন খসরু। উনি ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করে পাচঁবার ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চম বারের মত একজন “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন আব্দুল মতিন খসরু। পরে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে নিয়মিত প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।
Discussion about this post