বিয়ানিবাজার প্রতিনিধি::-বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজে ছাত্র কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছিতের আড়াই মাস না পেরুতেই আবারও শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। গত ২৩ আগষ্ট রবিবার দুপুরে বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ প্রশান্ত মৃধাকে লাঞ্ছিত করে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া তিন ছাত্র (ছাত্রলীগ কর্মী)। বিষয়টি নিয়ে তৎক্ষণাৎ এক জরুরী মিটিং এ বসেন শিক্ষকরা। তবে ছাত্রলীগ কর্মীরা বলছে ভিন্ন কথা। দু’পক্ষের অনড় অবস্থানের ফলে বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা যায়, ২৩ আগষ্ট দুপুরে অনার্স বিভাগের বাংলা ক্লাস চলাকালীন বাইরে থাকা দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ গাজী শিমুল, রাব্বী ও আব্দুল্লাহ ক্লাসের বাঁধাপ্রদান করছিল। এ সময় শিক্ষক প্রশান্ত মৃধা তাদেরকে (ছাত্রলীগ কর্মীদের) সেখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু তারা স্থান ত্যাগ না করে শিক্ষকের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়েওই ছাত্ররা তাদের নেতাকর্মীসহ শিক্ষককে ঘেরাও করেন। এ সময় মোস্তাক বহিরাগত (মদন মোহন কলেজের ছাত্র) সহকর্মীদের নিয়ে শিক্ষক প্রশান্ত মৃধাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ঘটনাটি সম্পর্কে কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ অবগত হলে তিনি প্রশান্ত মৃধাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। পরে অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ শিক্ষকদের নিয়ে তৎক্ষণাৎ এক জরুরি মিটিং এ বসেন। এ সময় শিক্ষকরা বলেন, “বার বার বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজে এরকম ছাত্রকর্তৃক হেন আচরণ ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের সীমা লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ থেকে শিক্ষকরা পরিত্রাণ চান। তারা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘‘প্রয়োজনে শিক্ষকরা দেশের অন্যত্র কলেজে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু ছাত্রকর্তৃক বারবার লাঞ্ছিত হতে চাই না।”তবে ছাত্রলীগ কর্মীরা বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, “বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ প্রশান্ত মৃধা তাদের এক কর্মীকে আঘাত করেছেন। এর প্রতিবাদেছাত্রলীগ কর্মীরা কলেজে মিছিল ও জরুরী সভা করেছে”। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সৃষ্ট ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি।
Discussion about this post