মোফসেনা ত্বাকিয়া। শেরপুর জেলার নালিতা বাড়ির মোস্তাফা আহম্মেদের মেয়ে। বাবা মুক্তিযোদ্ধা। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)। ওয়েটিংয়ে থেকে বৈধভাবে ভর্তি হতে পারেননি। ভর্তি হন জালিয়াতি করে। এ অবস্থায় জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে এক বছর ধরে ক্লাসও করছিলেন ত্বাকিয়া। কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো ফাইনাল পরীক্ষা ফরম পূরণ করতে গিয়ে।মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণের সময় রেজিস্ট্রি খাতায় তার নাম কোথাও খুঁজে না পেয়ে বিভাগীয় শিক্ষকদের সন্দেহ হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাঠানো হয়। পরে বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে ত্বাকিয়ার স্বীকারোক্তিতে।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, ত্বাকিয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অপেক্ষামাণ ছিলেন। কিন্তু ভর্তি না হয়েও জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের (রোল নম্বর ২২৩৮) শিক্ষার্থী হিসেবে এক বছর ধরে পরিচয় দিয়ে আসছে।
প্রক্টর অফিসে স্বীকারোক্তিতে ত্বাকিয়া উল্লেখ করেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নই। কিন্তু ভর্তি জালিয়াতির স্বীকার। আমার অপরাধ স্বীকার করে নিচ্ছি। সাহেদ ইসলাম ওরফে আল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে ভর্তি করিয়ে দেয়।
কিন্ত ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪২তম ব্যাচের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র আল-আমিনকে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তিনি কোনো টাকার লেনদেন বা জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে ভর্তি করাননি বলে স্বীকারোক্তি দেন। তবে ওই মেয়ে তার পরিচিত বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, ক্লাসে ত্বাকিয়ার কোনো সঠিক রোল নম্বর ছিল না। কিন্তু সে অনুশীলনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবশেষ প্রথম বর্ষের ফরম পূরণ করতে গেলে তার জালিয়াতির বিষয়ে আমাদের সন্দেহ হয় এবং প্রক্টর অফিসকে অবহিত করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, আমরা তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চপর্যায়ে রিপোর্ট দেবো। উপাচার্য তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
Discussion about this post