ডেস্ক রিপোর্ট
ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে ৬৮ দিন কারাগারে রাখার ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
সিআইডির রিপোর্টে উঠে আসা ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার সঙ্গে জড়িতরাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ভুয়া ওয়ারেন্ট কোথা থেকে ইস্যু করা হয় এবং কারা ইস্যু করে তা খুঁজে করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জারি করা ওয়ারেন্ট ভুয়া কি না তা যাচাই সাপেক্ষে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন আদালত।
আওলাদ হোসেনের স্ত্রীর দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ভুয়া মামলায় আওলাদ হোসেনের ওয়ারেন্ট জারি করা নিয়ে রুল জারি করেন আদালত। এই রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করা হয়।
আইনজীবী এমাদুল বসির জানান, আওলাদ হোসেন একের পর এক পরোয়ানা মাথায় নিয়ে প্রথমে কক্সবাজার পরে রাজশাহী তারপর বাগেরহাট, শেরপুরের কারাগারে ৬৮ দিন ছিলেন। পরে হাইকোর্টের আদেশে তিনি মুক্তি পান।
Discussion about this post