এখন প্রতিটি পরিবারেই কেউ না কেউ অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছে । প্রচুর পরিমান ঔষধ ব্যবহার হয় প্রতিনিয়ত । ক্রমবর্ধমান ঔষধ পরিবর্তনের ফলে অনেক সময়ই দেখা যায় কিছু ঔষধ পরিত্যক্ত হয়ে যায় । এই পরিত্যাক্ত ঔষধগুলো আমরা কি করছি? এগুলোর জন্য কিন্তু কোন নিয়ম কানুন পালন করা হচ্ছে না । শুধুমাত্র বাসা বাড়িতে যে এমন হয় তা নয় অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল গুলোতেও অনেক পরিত্যক্ত ঔষধ হচ্ছে যা কিনা কোম্পানিগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না ।এর মধ্যে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক ঔষধও রয়েছে । যখন এগুলো সরাসরি কোন উন্মুক্ত স্থানে ফেলা হচ্ছে তা পরিবেশে দুষন সৃষ্টি করছে চরমভাবে । বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক ঔষধগুলো কোন স্থানে ফেলা হলে তা নতুন জীবানুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যেকোন সময় । বার বারই বলা হচ্ছে বেশী পরিমান এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ফলে এন্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে কিন্তু কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য নষ্ট ঔষধগুলো যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়াও একটি ফল হতে পারে !
এতো গেল পরিত্যাক্ত ঔষধের ব্যপার কিন্তু এর থেকেও ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি করছে হাসপাতালের বর্জ্য । এখনও ঢাকার ক্লিনিক, ডায়াগোনস্টিক সেন্টার, বড় বড় হাসপাতাল গুলোর অনেকগুলোতেই সঠিকভাবে হাসপাতাল বর্জ্যব্যবস্থপনা নেই । হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সংক্রামক, অসংক্রামক সহ প্রায় 18 ধরনের বর্জ্য বিন্যস্ত করে তা ব্যবস্থাপনার জন্য নির্বাচন করার কথা থাকলেও এই নিয়মগুলো মানছেনা কেউই । রোগীর থুথু, রক্ত, সিরিজ্ঞ, রক্তের ব্যাগ এগুলো নিয়ে ফেলা হচ্ছে সরাসরি ময়লার ভাগারে । ফলে জীবানু নষ্ট না হয়ে আরও ভয়ংকর আকার ধারন করছে সহসাই । তরল বর্জ্যের নিস্কাষনের জন্য ইটিপি স্থাপনের কথা থাকলেও সেখানে অনিয়ম । সরকারি হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রেও অনেকগুলোতেই এখনও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা চালু করা যায়নি ।
স্বাস্থ্যের উপর বিরুপ প্রভাবে পরিত্যাক্ত ঔষধ এবং হাসপাতালের বর্জ্য নতুন একটা অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে এক্ষুনি সচেতন না হলে । বাসা বাড়িতেও কোন পরিত্যক্ত ঔষধ থাকলে তা কিভাবে নষ্ট করতে হবে তার একটি নীতিমালা সহ হাসপাতালের সামগ্রিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতি বিনীত নিবেদন করছি । আশা করি মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের একটি দ্রুতগতির পদক্ষেপে জনস্বাস্থ্যের এই হুমকির বিষয়টি একটি ভালো সামাধানের দিকে আগাবে ।
লেখকঃ সাঈদ চৌধুরী
Discussion about this post