
নড়াইলে সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ একই মাদরাসার প্রাক্তন লম্পট শিক্ষার্থী মনিরুল কাজীসহ ৪ জনকে আসামীকরে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রীর মা । সদর থানায় মামলা নং-১৯। মামলার অন্য আসামীরা হল মঞ্জু বিশ্বাস,রিয়াজ মোল্যা ও সাবানা বেগম।
এদিকে মাদ্রসার ছাত্রী ধর্ষনের সংবাদ বিভিন্ন জাতীয়, অনলাইন ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রচার হওয়ায় ক্ষেপেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছলেমান মিয়াও মামলা না করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সালিশ মিমাংশা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, আসামী না ধরার জন্য পুলিশকে চাপ প্রয়োগ করছে প্রভাবশালী মহল।
জানাগেছে, নড়াইল সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের ওই মাদরাসার ছাত্রী গত ১৬ই মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে ছাগল নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় একই গ্রামের হাই কাজীর ছেলে মনিরুল কাজী তাকে জোরকরে একটি প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে গোপালগঞ্জ নিয়ে আরো ২জনের সহযোগিতায় মনিরুল কাজী ধর্ষন করে। পরে রাতে বাড়ির পাশের ফেলে রেখে চলে যায়। ১৭ মার্চ সকালে ওই ছাত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম মামলায বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন শেষে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে আদালত ওই ছাত্রীর পরিবারের নিকট তাকে জিম্মায় দিয়েছে। এজাহার ভূক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তদন্তকারী এই কর্মকর্তা জানান।
Discussion about this post