বিডিলনিউজ: মানবাধিকার সংগঠনের নামে যারা কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মিথ্যাচার করছে তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
এদিকে বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুধু মানবাধিকার সংগঠন নয় যারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও সহসাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তারা।
সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণীর সুশীল সমাজ, এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী, কিছু মানবাধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকার কর্মী বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন। তারা বিভিন্ন টকশো বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করে এবং আরও নানারকমভাবে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
তিনি হেফাজতে ইসলামের ৫ মে’র শাপলা চত্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে চলা মিথ্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আজ পর্যন্ত হেফাজতের কোনো কর্মী দেশের কোথাও কোনো থানায় জিডি পর্যন্ত করেননি, একজন মানুষও দাবি করেননি যে তাঁর ভাই, তাঁর সন্তান বা তাঁর স্বামী নিরুদ্দেশ। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনের নামে তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, মিথ্যাচার করছেন, অথচ কোনো তালিকা দিচ্ছেন না।
আইন প্রতিমন্ত্রী মানবাধিকার সংগঠনের নামে এরকম মিথ্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদেরকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। কোনো অবস্থাতেই তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি এ সময় এসব সংগঠনকে অর্থসহায়তা প্রদানকারী বিদেশি দাতাসংস্থাগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমি বিদেশি বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা এসব সংগঠনকে অনুদান দেয়া বন্ধ করতে হবে, বন্ধ করা উচিত।
সভায় বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইতোমধ্যেই আদিলুর রহমান সাহেবকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। আরও যারা একইরকমভাবে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন, ইন্টারনেটে যারা ফটোশপের মাধ্যমে ছবিকে বিকৃত করে প্রচারণা করছেন, অন্যদেশের ছবিকে বাংলাদেশের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন, তাদেরকেও সরকার খুঁজে বের করবে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post