বিডিলনিউজঃ
ওয়াকফ সম্পত্তির ক্ষেত্রে ‘মুতওয়লি্ল’ শব্দটি বহুল-ব্যবহৃত। মুসলিম আইনানুসারে ওয়াকফ সম্পত্তির দেখাশোনা ও পরিচালনার ভার যার ওপর ন্যস্ত করা হয়, তাকে ‘মুতওয়ালি্ল’ বলে। মুতওয়ালি্লর ওপর ন্যস্ত সম্পত্তির অধিকার বর্তায় না। তিনি শুধু দেখাশোনা ও পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। বাংলাদেশ ওয়াকফ অধ্যাদেশ ১৯৬২-এর সংজ্ঞানুসারে, মুতওয়ালি্ল অর্থ মৌখিকভাবে অথবা ওয়াকফ সৃষ্টিকারী কোনো দলিল বা দস্তাবেজের অধীনে অথবা কোনো যোগ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ওয়াকফের মুতওয়ালি্ল হিসেবে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি এবং মুতওয়ালি্ল বলতে নায়ে মুতওয়ালি্ল, দায়িত্ব পালনের জন্য মুতওয়ালি্ল কর্তৃক নিযুক্ত বা দায়িত্ব প্রদত্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তি, নাবালক বা অপ্রকৃতিস্থমনা মুতওয়ালি্লর অভিভাবক এবং অনুরূপ কোনো ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসন সাময়িকভাবে পরিচালনাকারী যে কোনো ব্যক্তি বা কমিটিকে বোঝাবে।ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনের জন্য ১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির বিধানাবলি কিংবা ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ কিংবা ১৪৬ ধারা মোতাবেক নিযুক্ত রিসিভার অথবা আপত বলবৎ কোনো আইনের বিধানাবলি অনুসারে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাকারী অভিন্ন ব্যবস্থাপক এই অধ্যাদেশের অধীনে মুতওয়ালি্ল হিসেবে গণ্য হবেন।
কৃষি ভূ-সম্পত্তির ক্ষেত্রে তিন বছর এবং কৃষি ভূমি নয় এমন সম্পত্তির ক্ষেত্রে এক বছরের বেশি সময় পর্যন্ত ওয়াকফ সম্পত্তি ইজারা দেয়ার ক্ষমতা মুতওয়ালি্লর নেই। ওয়াকফ প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃক পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করা না হলে আদালত মুতওয়ালি্লর পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে পারেন। বাংলাদেশে ওয়াকফ সম্পত্তি, মুতওয়ালি্লর অধিকার ও দায়িত্ব ওয়াকফ অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়।
Discussion about this post