নিজস্ব প্রতিবেদক: বিরোধ মীমাংসায় মেডিয়েশন (মধ্যস্থতা) পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে দুটি সার্কুলার জারি করে সুপ্রিমকোর্ট। এই সার্কুলার গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব আরবিট্রেশন অ্যান্ড মেডিয়েশন (আইআইএম) কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের ১২ জন মেডিয়েটর।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রায় ৩৮ লাখ মামলা জটে ভারাক্রান্ত বাংলাদেশের বিচার বিভাগ। ঠুনকো অজুহাতে প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে মামলার সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কম খরচে বিরোধ মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি মেডিয়েশন (মধ্যস্থতা) আবশ্যিকভাবে পালনে অনুসরণীয় নির্দেশিকা দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট।
বিবৃতিতে ১২ জন মেডিয়েটর মেডিয়েশনের গুরুত্ব প্রচারে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রত্যাশা করে বলেন, গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ বলা হয়। একমাত্র গণমাধ্যমই সারাদেশের মানুষকে মেডিয়েশন সম্পর্কে সচেতন ও মেডিয়েশনের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসায় বিচারপ্রার্থী জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তাই দেশের মামলাজট নিরসন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মেডিয়েশন পদ্ধতি সম্পর্কে বিচারপ্রার্থী জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সুপ্রিমকোর্টের সার্কুলার গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতা ১২ জন মেডিয়েটর হলেন- বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর পঞ্চজ কুমার কুন্ডু, বিমসের রিজওনাল ডিরেক্টর খন্দকার রফিক হাসনাইন, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর সৃজনী ত্রিপুরা, হুমায়ন কবির শিকদার, মো. আলমগীর হোসাইন, ফারহানা আফরোজ, আফরোজা শারমীন কনা, মো. শাহীনুর ইসলাম, সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, তন্ময় রহমান ও অ্যাডভোকেট কনিকা মণ্ডল।
এর আগে সুপ্রিমকোর্টের জুডিশিয়াল রিফর্মস কমিটির সুপারিশে গত ২১ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশে অধস্তন আদালতে মেডিয়েশন সংক্রান্ত বিধানাবলী ‘আবশ্যিকভাবে’ পালনের জন্য সার্কুলার জারি করা হয়।
Discussion about this post