শাস্তি হিসেবে জেল দিতে পারবে না, এমন অজুহাতে মোবাইল কোর্ট বন্ধ করে দেয়া হলে সমাজে আরও বিপর্যয় নেমে আসবে, বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। মোবাইল কোর্ট নিয়ে করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম চলবে বলে জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের করা তিনটি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের করা তিনটি লিভ টু আপিল শুনানির জন্য মঞ্জুর করে আদেশ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।
রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। তিনটি রিট একত্রে শুনানি করে মোবাইল কোর্টের কয়েকটি ধারাকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।তিনি বলেন, এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে সিএমপি (রায় স্থগিতের আবেদন) ফাইল করি। সে সময় রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত ছিল। আজকে তিনটি পিটিশনের শুনানি হয়। আপিল বিভাগ শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। লিভ মঞ্জুর করেছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’
কী যুক্তিতে লিভ মঞ্জুর করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বড় যুক্তি হচ্ছে এটি জনহিতকর কাজে ব্যবহার হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট না থাকলে মাদক বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না, অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ বন্ধ করা সম্ভব না, কিশোরী বা তরুণীদের রাস্তায় হাঁটা চলা এবং ইভটিজিং থেকে রক্ষা করা সম্ভব না। বাল্যবিবাহ থেকে মেয়েদের রক্ষা করা সম্ভব না।
এ আইন আছে বলে ভেজালবিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করা গেছে। অবৈধ নির্মাণ, জুয়া, ইভটিজিং বন্ধ করা গেছে। কাজেই শুধুমাত্র মোবাইল কোর্ট শাস্তি ও জেল দিতে পারবে না যদি এ অজুহাতে মোবাইল কোর্ট বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে সমাজে আরও বিপর্যয় নেমে আসবে। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Discussion about this post