ডেস্ক রিপোর্টঃ ইরাকের বাগদাদের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ‘পেন্টাগন’ কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে তাকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়েছে’।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হওয়া এক হামলায় মারা যাওয়া বেশ কয়েকজনের মধ্যে কাসেম সোলেইমানি রয়েছেন।
ইরানের শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি জেনারেল সোলাইমানি। তার কুদ’স বাহিনী সরাসরি দেশটির প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে রিপোর্ট করে।
মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইরানের সাথে সম্পর্ক আছে, এমন লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি।
মার্কিন হামলা বা কারো নিহত হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন ইরানের ইসলামি রেভ্যুলশনারি গার্ড কোরের সিনিয়র কমান্ডার ও কুদস বাহিনীর প্রধান। ইরান দাবি করেছে, এর আগেও তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল মার্কিন ও ইসরাইলি বাহিনী।
কুদস বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দিয়ে থাকে। তাদের সমর্থনেই টিকে আছেন বাশার আল আসাদ। এই বাহিনীই ইরাক ও সিরিয়ার আইএসআইএসকে পরাজিত করতে বিপুল ভূমিকা পালন করেছিল।
এই বাহিনী এই অঞ্চলে ইরানের সামরিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে থাকে।
আর জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন ইরান কর্তৃপক্ষের অত্যন্ত আস্থাভাজন। গত মার্চে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক পদক ‘অর্ডার অব জুলফিকার’ লাভ করেছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে রকেট হামলায় হত্যা করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার রকেট হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের শক্তিশালী এই কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
Discussion about this post