নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে গৃহকর্মী পারভীন ওরফে ফেন্সি আরা (৩০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।পিবিআই বলছে, ফেন্সি আরা নিকেতনে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। গৃহকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহে তাকে হত্যা করেন গৃহকর্ত্রী। পরে তার লাশ গাড়িচালকের সহায়তায় তুরাগের ঝাউবন এলাকায় ফেলা হয়।
রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।তিন দিন আগে রাজধানীর তুরাগের দিয়াবাড়ির ঝাউবন এলাকা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুল হক (৬৩) ও গৃহকর্ত্রী সৈয়দা সামিনা হাসানকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গৃহকর্মী ফেন্সি আরার বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর আলোকডিহি সরকারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম রমজান আলী। স্বামীর নাম মোমিনুল হক। জীবিকার সন্ধানে ছয় বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন ফেন্সি। স্বামী রিকশা চালানো শুরু করেন। আর ফেন্সি গৃহকর্মীর কাজ নেন। ফেন্সিকে মাসে সাত হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাকে মাত্র এক হাজার টাকা করে দেওয়া হতো।
তিনি জানান, গৃহকর্তা জসীমুলের সঙ্গে ফেন্সির অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন গৃহকর্ত্রী সামিনা হাসান। এ সন্দেহের জেরে ১ ডিসেম্বর সকালে ফেন্সিকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সামিনা। এতে তিনি জ্ঞান হারালে তার বুকে জোরে চাপ দেওয়া হয়। এতে বুকের হাড় ভেঙে ফেন্সির মৃত্যু হয়। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে গাড়িচালক রমজান আলীর সহায়তায় তুরাগের দিয়াবাড়ির ঝাউবনে তার লাশ ফেলে দেওয়া হয়।
পিবিআই আরও জানায়, ফেন্সির স্বামী মোমিনুল ঢাকায় রিকশা চালান। পারভীন ওই বাসায় কাজ নেওয়ার পর তার সঙ্গে মোমিনুলকে দেখা করতে দেওয়া হতো না। এ নিয়ে গুলশান থানায় গত অক্টোবরে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন মোমিনুল।
Discussion about this post