ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের গার্ডারচাপায় প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন। এরই মধ্যে পার হয়েছে এক বছর। এতদিনেও এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় হতাশ মামলার বাদী। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. আফরান মন্ডল বাবু গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার তদন্তই হচ্ছে না। তদন্ত নিয়ে হতাশ আমরা।
তিনি বলেন, চীনা কোম্পানি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন কোটি টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এক কোটি ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে যোগাযোগ করলেও তারা সাড়া দেয়নি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
মামলার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
২০২২ সালের ১৫ আগস্ট বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।
নিহতরা হলেন- আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল ওরফে নূর ইসলাম (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝর্ণা আক্তার (২৭), ঝর্ণা আক্তারের দুই শিশুসন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। ওই ঘটনার রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্ণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মন্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
মামলার পর হেভি ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ইফসকন বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. ইফতেখার হোসেন, হেড অব অপারেশন মো. আজহারুল ইসলাম মিঠু, ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল্ড ট্রেডের মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন মৃধা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার মো. জুলফিকার আলী শাহ ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, ক্রেনচালক মো. আল-আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়, রাকিব হোসেন, মো. আফরোজ ও ট্রাফিকম্যান মো. রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে ১০ আসামিই জামিনে।
Discussion about this post