ডেস্ক রিপোর্টঃ-
ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকালে সেই তরুণী বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে যশোরের কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় সাতজন আসামিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আসামিরা হচ্ছেন যশোরের সদর রামনগর ধোপাপাড়া এলাকার বাসশ্রমিক মনিরুল ইসলাম, বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার শাহিন হোসেন জনি, সিটি কলেজপাড়ার কৃষ্ণ বিশ্বাস, সুভাষ সিংহ, রাকিবুল ইসলাম রকিব, কাজী মুকুল এবং মঈনুল ইসলাম।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সেই নারী রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন। তার বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায়। যশোর থেকে এমকে পরিবহনের দুটি বাস সরাসরি রাজশাহী চলাচল করে।সেই নারী এমকে পরিবহনে করে রাজশাহী থেকে যশোরে যাওয়া-আসা করতেন। যাতায়াতের সময় বাসের হেলপার মনিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মাঝেমধ্যে মনিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার কথাবার্তা হতো। বৃহস্পতিবার রাজশাহী থেকে যশোরে আসার জন্য মনিরকে ফোন করেন। । ঐ দিন তিনি রাত ১১টার সময় বাসে এসে মণিহার প্রেক্ষাগৃহের সামনে নামেন এবং মনিরকে ফোন করেন। মনির ফোন পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন।
তিনি আরো জানান, ঐ রাতে মনির মেয়েটিকে জানায়, বাঘারপাড়ায় যাওয়ার কোনও বাস পাওয়া যাবে না। তাকে যশোরেই থাকতে হবে। সে সময় মনির তাকে বাসের মধ্যে থাকার প্রস্তাব দেয় এবং পরে তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে সেখানে থাকা অন্য তিন শ্রমিক ঐ নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে সময় বাধা দিলে ঐ তিন শ্রমিক তাকে মারপিট করেন।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ নারীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং মনিরসহ সাত জনকে থানায় নিয়ে যান।মেয়েটি পুলিশকে জানান, তাকে তিন জন মিলে ধর্ষণ করেছেন।
Discussion about this post