নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত ‘মামলাবাজ সিন্ডিকেট সমতল থেকে পাহাড়ে’ শিরোনামের অনুসন্ধানী ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সকলের নজরে আসা রাজারবাগ দরবারের পীর দিল্লুর রহমানসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে করা মামলা সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টের সেকশন থেকে গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দুপুর ২টার মধ্যে সেকশন সুপারকে ফাইল খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানিকালে রোববার (০৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও এমাদুল হক বশির।
এর আগে গত ০২ ডিসেম্বর পীর দিল্লুর রহমানসহ ৪ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক রিট আবেদন দায়ের করা হয়। রিটে পীর দিল্লুরসহ শাকিরুল কবির, ফারুকুর রহমান ও মফিজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বশির আবেদনটি দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি মামলা হওয়ার বিরুদ্ধে একরামুল আহসান কাঞ্চন ন্যায় বিচার পেতে এবং ঘটনার পেছনে দায়ীদের খুঁজতে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে একরামুলের বিরুদ্ধে হওয়া ৪৯ মামলার তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে রুলসহ আদেশ দেন।
এরপর সিআইডির প্রতিবেদনে কাঞ্চনের বিরুদ্ধে পীর সিন্ডিকেটের করা হয়রানিমূলক মামলার তথ্য উঠে আসে। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ দরবার শরীফের সব সম্পদের তথ্য খুঁজতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), তাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এবং উচ্চ আদালতে রিটকারী ৮ জনের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলার বিষয়ে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পীর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
Discussion about this post