বহুল আলোচিত-সমালোচিত আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) সংশোধন বিলে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যদিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হলো। সংশোধিত আকারে পাস হওয়া আইনে শাস্তির মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭ বছর করা হয়েছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংশোধিত আকারে সংসদে পাস হয়। এছাড়া মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চলতি অধিবেশনে পাস হওয়া কবি নজরুল ইনস্টিটিউট বিলেও রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেছেন।
দ্রুত বিচার আইনে ‘বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট’ নিয়োগের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। আইনে ২০০২ সালের এ সংক্রান্ত আইনের ৪(১) ধারা সংশোধন করে শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ওই ধারায় ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ’ এর জন্য এতদিন সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।
সংশোধিত আইনের খসড়ায় ওই সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ’ করলে দ্রুত বিচার আইনে তার বিচার হবে।
যেমন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বা বেআইনি বল প্রয়োগ করে কোনো ব্যক্তি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা, সাহায্য বা অন্য কোনো নামে অর্থ বা মালামাল দাবি বা আদায় বা আদায়ের চেষ্টা করলে তা এ আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এছাড়া স্থল, রেল, জল বা আকাশপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, ইচ্ছের বিরুদ্ধে যানের গতি ভিন্নপথে পরিবর্তন করা, ইচ্ছাকৃত কোনো যানবাহনের ক্ষতি করা, ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার, ব্যক্তি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ভাঙচুর করাসহ নয় ধরনের অপরাধের জন্য এই আইনের অধীনে সাজা দেওয়া যাবে।
Discussion about this post