নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তাই পুলিশ সদস্যদের দোকানে দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) মনিরুল ইসলাম ওয়ারলেসে পুলিশ সদস্যদের এই নির্দেশ দেন।
ডিএমপির একাধিক ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্দেশনা পেয়ে থানা এলাকার পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দোকানে গিয়ে লবণের মজুতের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
মুগদা এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা জানান, বিকেলে দোকানে দোকানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করায় কয়েকজনকে আটক করে।
এ বিষয়ে মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, লবণ নিয়ে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রচারণা চালাচ্ছি। এছাড়াও কেউ অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করছে কি না- সে বিষয়ে নজর রাখছি।
সূত্র জানায়, ধানমন্ডি ও হাজারীবাগে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও বিষয়টি এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ জানায়, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ পেয়ে ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকার সুপারশপ এবং দোকানগুলোতে লবণের খোঁজে পুলিশ যায়। গিয়ে দেখে অনেক দোকানে লবণ শেষ। কী কারণে তাদের লবণ নেই, চালানের সঙ্গে মজুতের পরিমাণ দেখা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ দোকানে গিয়ে লবণ পাওয়া যায়নি।
এ দিকে সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুরান ঢাকার নয়াবাজারে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। অভিযানের শুরুতে তিনি বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে লবণের মজুত নজরদারি করছেন। ব্যবসায়ীদের কাছে লবণের দাম বৃদ্ধি ও সংকটের কারণ জানতে চাইছেন।
অভিযানের ফলাফলের বিষয়ে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
দাম বেশি নিয়ে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা দিলেন ৮ ব্যবসায়ী: এদিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব ও অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রির অভিযোগে ৮ জন ব্যবসায়ীকে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে মূল্য তালিকা টানানোরও নির্দেশ প্রদান করা হয়।
মাধবপুর উপজেলা কর্মকর্তা তাসনূভা নাশতারাণ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়েশা আক্তার লবণের দাম বৃদ্ধির গুজবে উপজেলা সদরসহ ধর্মঘর, চৌমুহনী, মনতলা, হরষপুর, নয়াপাড়া, জগদীশপুর, ছাতিয়াইন ও কালিকাপুর বাজারে বিভিন্ন মুদি দোকানে মনিটরিং করেন। এ সময় অতিরিক্ত মূল্যে লবণ বিক্রির অভিযোগে ৮ জন ব্যবসায়ীকে নগদ ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনূভা নাশতারাণ জানান, কেউ যদি গুজব ছড়িয়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করার অপচেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীর বিভিন্ন বাজারে হঠাৎ করে লবণের দাম বেড়েছে বলে গুবজ ছড়ানো হচ্ছে। বেশি দরে লবণ বিক্রির অভিযোগে সকাল ৯টার দিকে খালিয়াজুরী উপজেলা সদরের পুরানহাটি এলাকার ব্যবসায়ী মো. হায়দার চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক হওয়া হায়দার চৌধুরীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরীর ছেলে। তিনি খালিয়াজুরী থেকে ব্যবসা পরিচালনা করেন।
Discussion about this post