বিডি ল নিউজঃ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের অভিষেক মাটি করল বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ক্রিকেটাররা মাঠে যতটা গোলাগুলি চালাবেন বলে প্রত্যাশা ছিল, তেমন লড়াই দেখা গেল না তাঁদের মধ্যে। বরং বাংলাদেশের মাত্র দুই ব্যাটসম্যান রুখে দাঁড়াতেই মুষড়ে পড়লেন শাপুর জাদরানরা। ইংরেজ কোচ অ্যান্ডি মোলসের তত্ত্বাবধানে থাকা দল হারল ১০৫ রানে। গত বছর এই আফগানদের হাতেই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এ বার তার বদলা নিয়ে নিলেন শাকিব আল হাসানরা।
কয়েক দিন আগে পর্যন্ত বোর্ডের দেওয়া নির্বাসনে থাকা শাকিবই এই জয়ের অন্যতম স্থপতি। ব্যাট হাতে যেমন ৫১ বলে ৬৩ রান করলেন, তিনিই প্রথম বাংলাদেশি যিনি ওয়ান ডে-তে চার হাজার রান পেলেন। তেমনই পরপর দু’টো উইকেট নিয়ে বিপক্ষের লড়াই শেষ করে দিলেন। দুই বাংলাদেশি পেসার মাশরাফি মোর্তাজা ও রুবেল হোসেন অবশ্য এ দিন সমানে লাইন ও লেংথ বজায় রেখে আফগানদের আগাগোড়া চাপে রেখেছিলেন। মোর্তাজা কুড়ি রান দিয়ে তিন উইকেট ও রুবেল ২৭ দিয়ে এক উইকেট নেন।
১১৯-এর মধ্যে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ১১৪ রানের পার্টনারশিপ খেলেন শাকিব। আর তাতেই লড়াইয়ের জায়গায় চলে আসে বাংলাদেশ। তাঁদের এই পার্টনারশিপের উপর ভর করেই বাংলাদেশ সব উইকেট খুইয়েও আফগানিস্তানকে ২৬৮-র টার্গেটের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়।
জাদরান-সহ চার আফগান পেসার (প্রত্যেকেরই দু’টি করে উইকেট) ভাল বল করলেও চাপ নিতে পারেননি দলের ব্যাটসম্যানরা। ৪২.৫ ওভারে ১৬২-তেই অল আউট তারা। খেলার পর কার্যত তা স্বীকারও করে নেন আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি। বলেন, “৩৫ ওভার আমাদের বোলাররা ভাল বল করলেও ব্যাটিংটা তেমন হয়নি বলেই আমাদের শুরুটা ভাল হল না।” অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মোর্তাজার বক্তব্য, “এই ধরনের ম্যাচে, যেখানে চাপ থাকে সেখানে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে জেতাটা বড় ব্যাপার। সমর্থকদেরও ধন্যবাদ।” জেতার পর ক্যানবেরার মানুকা ওভালে ভিক্ট্রি ল্যাপও দেন শাকিবরা।
Discussion about this post