ডেস্ক রিপোর্ট
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ড শেষে ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৪ মে) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষে না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- ঢাকা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল কাইয়ূম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পলাশ ও ইরফান, বাংলা বিভাগের ফয়সাল, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের জুনায়েদ।
এর আগে গত ৯ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৮ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ হাসান ও মুরসালিন মারা যান।
এরপর গত ২০ এপ্রিল নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করেন। এ মামলায় ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল আদালত পাঁচজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন (২৩ এপ্রিল) এ মামলায় আসামি মকবুলের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছে।
মকবুল হোসেন ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
Discussion about this post