ডেস্ক রিপোর্ট
সম্পদের হিসাব বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিরাজগঞ্জ সদর থানার চাকরিচ্যুত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের ছয় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের পৃথক দুই ধারায় তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
আব্দুল জলিলকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার জন্য নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশ পাওয়ার পর তিনি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার ২৩২ টাকার সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন। তবে দুদক তদন্তে তার অর্জিত সম্পদ পান ২৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৩২ টাকার।
এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর রমনা থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় আটজন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় চারজন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
Discussion about this post