ডেস্ক রিপোর্ট
সরকারি আইনি সহায়তা বাড়াতে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতিরা। একই সঙ্গে লিগ্যাল এইড অফিসের সক্ষমতা বাড়ানো, লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো এবং উপজেলা পর্যায়ে লিগ্যাল এইড অফিস সম্প্রসারণের পরামর্শও দেন তারা।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে স্থানীয় পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটির সক্ষমতা বিষয়ক সমন্বয় সভায় কমিটির সভাপতিরা এসব পরামর্শ দেন।
ইউএসএআইডির প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় দেশের নির্বাচিত ২০টি জেলার প্রতিটি থেকে একটি করে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংশ নেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি (জেলা ও দায়রা জজ) এতে অংশ নেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার সভা পরিচালনা করেন। এসময় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ, প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস- এর চিফ অব পার্টি হেদার গোল্ডস্মিথ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আইন ও বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারাসহ জাতীয় আইনত সহায়তা প্রদান সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, বর্তমান সরকার আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে জোরদার করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনি সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করতেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে আজকের এই সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়েছে। তার (আইনমন্ত্রী) অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এসময় তিনি প্যানেল আইনজীবীদের ফি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন ও উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি হলেন জনপ্রতিনিধি। আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে তাদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে আইনি সহায়তা কার্যক্রম গতিশীল হবে।
সভায় অংশগ্রহণকারী উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতিরা বলেন, উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি কার্যকর করতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার এ বিষয়ে সমন্বয় ও আন্তরিকতা থাকতে হবে। তাছাড়া প্রচার ও প্রকাশনা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বাড়াতে হবে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির আর্থিক সীমা। উপজেলা পরিষদের রাজস্ব বাজেট থেকে লিগ্যাল এইড খাতে খরচের অনুমোদন প্রয়োজন। এ সময় কেউ কেউ জনসচেতনতা বাড়াতে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন, মন্দিরের পুরোহিত, স্কুল- কলেজের শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন।
Discussion about this post