নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ার ও ওভাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিএফও) আরিফুল চৌধুরীসহ তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব বন্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে।
গত ২১ জুলাই পাঠানো চিঠিতে ৭ দিনের মধ্যে তাদের বন্ধ হওয়া চারটি হিসাবের সব ধরনের আর্থিক বিবরণী চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পূর্বে ছিল কিন্তু বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে এমন সকল ব্যাংক হিসাবের তথ্যও প্রদান করতে হবে।
এর আগে গত ১৪ জুলাই সাবরিনা এবং আরিফুল চৌধুরীর ও তাদের প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
চিঠিতে বলা হয়, জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা (জেকেজি হেলথ কেয়ার), ওভাল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড, আরিফুল চৌধুরী এবং সাবরিনা শারমিন হোসেন এর নামে, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য, স্ত্রী-সন্তানের একক বা যৌথ নামে অথবা তাদের আংশিক মালিকানাধীন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নামে আপনাদের ব্যাংকে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব, এফ ডি আর, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম, শেয়ার হিসাব বা অন্য যেকোনো ধরনের হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে হালনাগাদ হিসাব বিবরণী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল এর উপ-পরিচালক তাসনিম আলম বরাবর প্রেরণ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি পূর্বে ছিল কিন্তু বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে এরূপ হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
জানা গেছে, জেকেজির ২৭ হাজার রিপোর্টের প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার রিপোর্টই ভুয়া। পুলিশ জানায়, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে মোট ২৭ হাজার করোনার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আইইডিসিআরের মাধ্যমে। সঠিক এই রিপোর্টগুলো ছাড়া বাকি ১৫ হাজার ৪৬০টি রিপোর্টই ভুয়া।
টাকা নিয়ে মানুষের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপে বানানো সনদ। অথচ এই রিপোর্টগুলোর জন্য তারা জনপ্রতি ৫-১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। আর রিজেন্ট হাসপাতালও একইভাবে নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিত।
Discussion about this post