লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় টাকা লেনদেনের গ্রাম্য সালিশে হেরে জরিমানা দেওয়ায় সিএনজিচালক আবদুর রহিমকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত আবদুর রহিম রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউপির তুলাতুলি এলাকার বকশি হাওলাদার বাড়িতে।
সোমবার রাতে এ ঘটনায় আবু কালামসহ সাতজনের নামে রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত চালকের স্ত্রী আঁখি আক্তার। তবে এ পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্ত আবু কালাম ও দীপুসহ অন্যরা ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পলাতক রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুর রহিম জানান, প্রায় ৬ মাস আগে একই এলাকার আবু কালামের ছেলের স্ত্রী শাহনাজের টাকা লেনদেন নিয়ে সালিশ বৈঠকে হয়।
বৈঠকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় আবু কালামের পরিবারকে। এতে আবু কালাম ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ঘটনার সময় রায়পুর বাজার থেকে তাদের বাড়ির সামনে গিয়ে রাস্তার ওপর দাঁড়ালে পেছন থেকে হাত-মুখ বেঁধে আবু কালাম, দিলু, হোসেন, শরিফ, রাসেল ও নিপু বেগম তাদের বাড়িতে নিয়ে লাঠি, রড দিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তবে অভিযুক্তের স্ত্রী নিপু বেগম বলেন, তাদের পুত্রবধূকে রাতে উত্ত্যক্ত করায় আবদুর রহিমকে সামান্য মারধর করে ভয় দেখিয়েছে, এত আইনে যা হওয়ার হবে। তার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চালকের স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post