সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রদত্ত টাউট, বাটপার, দালাল নির্মূল নোটিশ পুঁজি করে সিরাজগঞ্জ আদালত পাড়ায় চলছে শিক্ষানবিশ আইনজীবী বিরোধী কার্যক্রম। এমসিকিউ, রিটেন উত্তীর্ণ, ছয় মাস শিক্ষানবিশকাল অন্তর্ভুক্ত, দুই একবার অকৃতকার্য এসকল বিষয় কোন বাছবিচার হীন ভাবেই শুরু হতে যাচ্ছে ঢালাওভাবে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের নির্মূল প্রক্রিয়া, চলছে মাইকিং এর মধ্যমে ব্যপক প্রচার প্রচারণা।
সিরাজগঞ্জ আদালত চত্ত্বরের শিক্ষানবিশের উপর এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। কেউ বা বিগত তিন বছর যাবৎ পরিক্ষা না পেয়ে এবার এমসিকিউ উত্তীর্ণ হয়ে, কেউ বা প্রথম বার পরিক্ষায় অনুত্তীর্ণ হোয়ে কিংবা কেউ সদ্য পাস করে আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আদালত চত্ত্বর আশার মতন তাদের শেষ সম্বল অর্থাৎ তাদের দাড়ানো যায়গাটি হাড়িয়ে আজ, দিশেহারা।
উল্লেখিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সকল জেলা বারের সকল আইনজীবীদের সমর্থন সরূপ নেয়া হচ্ছে গণ সাক্ষর। তাতে বর্ণিত রয়েছে আদালত চত্ত্বর থেকে সকল টাউট বাটপার দালাল নির্মূল করার জন্য এবং যে সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবী নিজেদের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় প্রদান করে, অসাধুভাবে টাকা রোজগার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ধরপাকড়।
দিনশেষে আঙুল তোলা হচ্ছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীর দিকেই। যদিও কঠর নির্দেশনার মধ্যে দিয়ে আইনজীবী সহকারী তথা মুহুরিদের আইডিকার্ড বাধ্যতামূলক করা সহ নেয়া হয়েছে আরও সংশোধনী মূলক কার্যপ্রক্রিয়া।
কিন্তু কতিপয় কিছু অসৎ দালাল পত্তনের চিহ্নিতযোগ্য ব্যক্তির কারণে আজ ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জ আদালত পাড়ার সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবী গণ। আদালত চত্ত্বরে লাল টাই পরিহিত শিক্ষানবিশরা এখন আর নেই বললেই চলে। যেন সব নষ্টের গোড়া এই ভবিষ্যৎ বিজ্ঞগণ, এমতাবস্থায় ভবিষ্যৎহীন দুর্বিষহ সময় অতিক্রম করছেন সিরাজগঞ্জ আদালত পাড়ার শিক্ষানবিশ আইনজীবী গণ।
রাহুল কুমার,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
Discussion about this post