প্রধান বিচারপতির এ আদেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করে বেঞ্চ কর্মকর্তা ও সহকারী বেঞ্চ কর্মকর্তাকে দৈনিক কার্যতালিকা প্রস্তুতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বেঞ্চ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রেজিস্ট্রারের নির্দেশনা অনুযায়ী, রিট মামলার ক্ষেত্রে নম্বর ও সাল অনুসারে (মেনশন স্লিপে উল্লিখিত) আগের মামলা আগে নিয়েই কার্যতালিকা প্রণয়ন করতে হবে। পরে দায়ের করা মামলা আগের দায়ের করা মামলার উপরে এনে আইটেম নম্বর নির্ধারণ করা যাবে না।
একই নির্দেশনা ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রেও। সব ধরনের ফৌজদারি মামলার মোশন তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত মেনশন স্লিপে উল্লেখিত মামলার এফিডেভিটের তারিখ ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী নিম্নক্রম থেকে ঊর্ধ্বক্রমে আইটেম নম্বর নির্ধারণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই আগে সম্পাদিত এফিডেভিটযুক্ত মামলার আইটেম নম্বর পরে সম্পাদিত এফিডেভিট যুক্ত মামলার আইটেম নম্বরের পরে নির্ধারণ করে কার্যতালিকা প্রস্তুত করা যাবে না।
উচ্চ আদালতে মামলা দায়েরের পর মামলা কার্যতালিকায় আনতে বাড়তি টাকা দিতে হয় বলে বিভিন্ন সময়ে বিচারপ্রার্থীরা অভিযোগ করে আসছেন। বেঞ্চ কর্মকর্তা ও সহকারী বেঞ্চ কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছু অসাধু কর্মকর্তা মামলা কার্যতালিকায় ওঠানোর কথা বলে বাড়তি টাকা নেন।
Discussion about this post