ডেস্ক রিপোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার অ্যাসোসিয়েশন) কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় জুতা পলিশের কাজ করেন একদল মানুষ। মুচি নামে পরিচিত এই পেশাজীবীরা এতদিন ধরে যেখানে-সেখানে বসে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করে আসছিলেন। এবার তাদের জন্য স্থায়ীভাবে শেড নির্মাণ করে বসার জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন। ভেতরে তৈরি করে দেয়া আলাদা বক্সে মুচিরা তাদের জিনিসপত্র রাখতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে শেডটি মুচিদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মূল ভবনের উত্তরপাশের দেয়াল ঘেঁষে নির্মিত এই শেডের ভেতরে কমপক্ষে ৮ জন বসে জুতা পলিশের কাজ করতে পারবেন। এতদিন বসার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় তারা রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন ভবনের বারান্দায় বসতেন। এতে তাদের কষ্টের পাশাপাশি সবার চলাচলে অসুবিধা হতো।

সুন্দর একটি বসার জায়গা করে দেয়ায় মুচিরা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।মাত্র সাত বছর বয়সে ওই এলাকায় জুতা পলিশের কাজ করতে এসেছিলেন ফণীভূষণ ওরফে রাম লাল। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, সেই ছোটবেলায় এখানে এসেছিলাম। এখন আমার বয়স প্রায় ৬৫ বছর। এতদিন পরে আমাদের জন্য একটি বসার ব্যবস্থা করে দেয়ায় বারের সভাপতি ও সম্পাদক স্যারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
এদিন নবনির্মিত শেডটির উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এ সময় বারের অর্থ সম্পাদক ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, লটারির মাধ্যমে শেডের ভেতরে তাদের বসার জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। নিজ হাতে লটারি টেনে তোলেন ফণীভূষণ, গৌরি চান, ঠাকুর চান, স্বপন, শঙ্কর, পরিমল ও জগদীশ।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সুপারিন্টেন্ডেন্ট রবিউল ইসলাম বলেন, সারাজীবনের জন্য মুচিরা এখানে বসবেন। এজন্য তাদেরকে কোনো টাকা দিতে হবে না।
Discussion about this post