নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ ও বারের কতিপয় সমস্যা সমাধানের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধান বিচারপতি নিকট লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন এডভোকেট এস এম আরিফ মন্ডল , বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। সেই সাথে আবেদনটির অনুলিপি মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ । সম্পাদক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন। রেজিস্টার, হাইকোর্ট ডিভিশন ।রেজিস্টার, আপিল বিভাগেও প্রেরন করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয় -ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে -হাইকোটের কিছুসংখ্যক ক্রিমিনাল বেঞ্চে জামিন বর্ধিতকরণ সহ অনন্যা মামলার স্লিপ জমা প্রদান করলেও সংশ্লিষ্ট কোর্টের বেঞ্চের অফিসারদের অসহযোগিতার কারণে মামলাগুলো লিস্টে যথা সময়ে আসেনা।
আবার অনেক সময় মামলাগুলো লিস্টে থাকলেও তদবির ব্যতিরেকে ফাইলগুলো সেকশন থেকে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আসে না। নিরুপায় হয়ে উন্মুক্ত আদালতে মেনশন ব্যতিরেকেই অনৈতিক পন্থায় মামলা সংশ্লিষ্ট কতিপয় আইনজীবীবৃন্দ মামলা দৈনিক কজলিস্টে আনতে বাধ্য হন।
ফলশ্রুতিতে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে ভুক্তভোগী বিচার প্রাথীদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। প্রতিদিনের কার্যতালিকা অনুযায়ী কোর্টে আদেশ প্রদান করা হলেও উহার সত্যায়িত নকল পাইতে ক্ষেত্র বিশেষে লক্ষ্য করা যায় যে – তদবির ব্যতিরেকে সেকশনে ফাইলগুলো ধারাবাহিকভাবে পৌঁছে না। সংশ্লিষ্ট বিচারপতি মহোদয় সঠিক ভাবে তদারকি করলে এই সমস্যাগুলোর আশু সমাধান সম্ভব।
সুপ্রিমকোর্টের সাংবিধানিক আদালতের কার্যক্রমের পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার বিবিধ এখতিয়ারে অন্তঃপরবর্তীকালীন জামিন আদেশ হেতু আদেশসহ রুল ইস্যু হয়।
মামলাগুলিতে জামিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকায় তড়িঘড়ি করে প্রতিটি মামলার ড্রাফ্ট তৈরি করতে হয়।কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে -ফৌজদারি মামলার ড্রাফ্ট গুলো সুপ্রিম কোর্ট বার পুরাতন ভবনের ছাদের কতিপয় টাইপিস্ট দরখাস্ত গুলি সম্পাদন করছে !
এভাবে চলতে থাকলে সুপ্রিম কোর্টের দক্ষ আইনজীবী গঠনে অভাব পরিলক্ষিত হইতে পারে। যাহা উচ্চ আদালতের বিচার কার্য পরিচালনায় অদূর ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। দরখাস্তে সমস্যাটি সমাধানে সুপ্রিম কোর্ট বার ও বেঞ্চের সমন্বয় করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Discussion about this post