ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা এক দশম শ্রেণির ছাত্রকে জোর করে তুলে নিয়ে মারধর ও নগ্ন করে ভিডিও ধারণের পর দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না দিলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি তার স্বজনকে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের চাচা গত শনিবার গফরগাঁও থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্র লজ্জায়-ভয়ে কান্নাকাটি করছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- নওখলা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে প্রোপেল (১৮), ছিপান গ্রামের পচাখাঁর বাড়ির চন্দন মিয়ার ছেলে মো. রিফাত (২২), ধাইরগাঁও গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী (২৪) ও মো. প্রান্ত (১৮), বিপুল মিয়ার ছেলে মো. রহিম (২১) এবং মো. আশিক (১৮), তার পিতা অজ্ঞাত। অভিযুক্তরা সবাই এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোড়াবাড়ীয়া ফরাজী বাড়ির দশম শ্রেণির ওই ছাত্র গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পাশের ঘাগড়ায় ইসলামী মহাসম্মেলনে অংশ নিতে যায়। তাকে রাত ২টার দিকে ওই ছয় অভিযুক্ত কথা আছে বলে সম্মেলনের পাশের রাস্তায় ডেকে নিয়ে ছয়জন মিলে তার চোখমুখ গামছা দিয়ে বেঁধে মোটরসাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর এবং তাকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করেন।
এ সময় ওই ছয়জন ছাত্রকে হুমকি দেন তাদের শেখানো মতে ‘আমি ইয়াবা বিক্রি করি, আমি হেরোইন বিক্রি করি’ বলতে। ভয়ে সে ওই ছয় সন্ত্রাসীর শেখানো মতো কথা বলে। সন্ত্রাসীরা তা ভিডিওতে ধারণ করে এবং ছাত্রের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে ভোর ৫টার দিকে চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে পোড়াবাড়ীয়া বাজারের পাশে ফেলে রেখে যায়।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত ও ভিডিওটি উদ্ধারের জন্য একজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Discussion about this post