ডেস্ক রিপোর্ট
নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুরে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রী ও ১৩ মাসের ছেলে সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আজ সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে মা–ছেলের লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ।
নিহত দুজন হলেন ঘোড়াদিয়া গ্রামের ফকরুল ইসলামের স্ত্রী রেশমি আক্তার (২৬) ও ১৩ মাস বয়সী ছেলে সালমান সাফায়াত। ফকরুল ইসলাম (৩০) এখন পুলিশের হেফাজতে আটক আছেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা বলছেন, মাদকাসক্তি নিয়ে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে অনেকবার রেশমির বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। পরে মাদকাসক্ত ফকরুলকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য একটি রিহ্যাবে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছায় ওই রিহ্যাব থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু মাদকাসক্তি কাটেনি তাঁর। গতকাল রাত দুইটার দিকে কথা–কাটাকাটি ও বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে স্ত্রী ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেন ফকরুল। পরে ফকরুলকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় লোকজন।
নিহত রেশমির বাবা পারভেজ মিয়া বলেন, ‘মেয়ের সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক ভালো ছিল না জানতাম। কিন্তু পরিস্থিতি এত খারাপ ছিল জানতাম না। এসব নিয়ে আমাদের কাছে কখনো কিছু বলতেও চাইতো না সে। আমার মেয়ে ও নাতিকে হত্যার জন্য ফকরুলের বিচার চাই আমি।’
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ফকরুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। মা ও ছেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Discussion about this post