নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ট্রাফিক শৃংখলা ফেরাতে আবারও অভিযানে নামছে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবে রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইডস ও বিএনসিসি’র সদস্যরা।
মঙ্গলবার ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৭ দিনের বিশেষ অভিযানে নামছে তারা। অভিযান চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, ট্রাফিক শৃংখলার উন্নয়নে এই ১৭ দিন ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই বিতরণ, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন সমূহে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
ডিএমপি আরও জানায়, বিশেষ অভিযানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের সাথে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রা ক্রসিং, রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান, স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল কলেজের ক্লাশ শুরু এবং ছুটির সময়ে উক্ত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন হবে, হাইড্রলিক হর্ন দ্রুতগতির যানবাহন, বেপরোয়াগতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টো পথে চলাচল এবং মোটরসাইকেলের আরোহীদের হেলমেট পরিধানসহ সকল প্রকার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।
এ ছাড়াও অভিযানে ঢাকা মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯ টি পয়েন্টে চেকপোস্ট করা হবে, রাজধানীর ৩০ টি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের বাধ্য করতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে, গাড়ি চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সবসময় গাড়ির দরজা বন্ধ রাখতে উদ্বুদ্ধকরণ, জেব্রা ক্রসিং এর আগে স্টপ লাইন বরাবর গাড়ি থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বামলেন ঘেষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা নিশ্চিত করা, ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
সম্প্রতি মডেল করিডোর হিসেবে ঘোষিত বিমানবন্দর হতে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মৎসভবন, কদম ফোয়ারা, পুরাতন হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশন সমূহে রিমোর্ট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে অটোমেটিক ও রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা হবে অভিযানে।
এর আগে ২০১৮ সালের আগস্টে জাবালে নুর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের পর তিন দফা বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। এর প্রথমটি ছিল ৫ থেকে ৩১ আগস্ট, দ্বিতীয়টি ৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
Discussion about this post