অনলাইন ডেস্ক
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী এক তরুণ অধিকারকর্মীকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা আইন ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার এ রায় দেওয়া হয়।
সম্প্রতি হংকংয়ে পাস হওয়া বিতর্কিত এক আইনে টনি চুং (২০) নামের ওই তরুণ দোষী সাব্যস্ত হন। চলতি মাসের শুরুতেই অর্থ পাচার আইনের একটি মামলায় টনি দোষী সাব্যস্ত হন। তবে আদালতের ওই রায়ের পরে তিনি বলেন, ওই ঘটনায় তিনি মোটেই লজ্জিত নন।
চীনের কাছ থেকে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবিতে গড়ে ওঠা স্টুডেন্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক ছিলেন টনি চুং। পাঁচ বছর আগে মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি ওই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। চীন থেকে বিচ্ছিন্নতা তখন হংকংয়ে সংখ্যালঘুদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, তবে বছর দুয়েক আগে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে গণতন্ত্রের দাবিতে হংকংয়ের নাগরিকেরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন।
সেই বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন আরোপ করে বেইজিং। তবে ওই আইন কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে স্থানীয় ছাত্ররা এই আইনের বিরোধিতা জানান।
এমন প্রেক্ষাপটে বিদেশি অধিকারকর্মীদের আর্থিক সহায়তা নিয়ে আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় টনি চুংয়ের বিরুদ্ধে।
সরকারি কৌঁসুলি অভিযোগ করেছেন, টনি চুংয়ের দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজারের বেশি পোস্ট দিয়েছে।
ওই সব পোস্টে ‘চীনা কমিউনিস্ট ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি’ এবং ‘হংকং প্রজাতন্ত্র গড়ে তোলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল।২০২০ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হওয়া টনি চুংকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যে এক বছরের বেশি জেল খাটা হয়েছে তাঁর।
Discussion about this post