নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান কোন কর্তৃত্ববলে পদে বহাল রয়েছেন-তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব, রাবির ভিসি ও রেজিস্ট্রার, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান
আইনজীবী মো: মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন রুল জারির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, রাবি ভিসির পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৪ জুলাই এ রিট করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ছাত্র সালমান ফিরোজ ফয়সাল।
এর আগে, গত ১৫ মে ওই ছাত্রের পক্ষে ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। অসত্য তথ্য দিয়ে পুনরায় ভিসি পদে নিয়োগ ও স্বপদে থাকার অভিযোগ এনে এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, ড. এম. আব্দুস সোবহান রাবি ভিসি হিসেবে ২০১৭ সালের ৭ মে চার বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান। ওইদিনই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর একই বছরের ২১ জুন ভিসির পদে থেকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। আবার ওইদিনই তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। ফলে ভিসির পদে সাময়িক শূন্যতা সৃষ্টি হয়।
ভিসি পদে সাময়িক শূন্যতা পূরণকল্পে ‘রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়াই’ এক দিনের জন্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আখতার ফারুককে ভারপ্রাপ্ত ভিসি নিয়োগ দেন। যা ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের পরিপন্থী।
Discussion about this post