বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দণ্ডিতরা আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে রোববার বেলা ১১টার মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আদেশে বিএনপি প্রার্থী সাবিরা সুলতানার কারাদণ্ড স্থগিত হওয়ার ফলে বিএনপি নেত্রীসহ অন্য দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু ওই আদেশের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই শনিবার সেই স্থগিতাদেশকে স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। ফলে দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এদিকে রোববার নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হবে। তাই ফুল বেঞ্চ কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা রোববার সকাল ১১টার মধ্যে (আর মাত্র ১২ ঘণ্টা) নিতে হবে বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল বিবিসিকে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তরা নির্বাচন করতে পারবে না এ মর্মে এর আগে দুটি বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিলেন- ফুল কোর্ট তা বহাল রেখেছেন। কিন্তু শনিবার একটি সিঙ্গল বেঞ্চ বিপরীতমুখী স্টে অর্ডার দেয়ার পর এর বিরুদ্ধে আমরা চেম্বারে গিয়েছিলাম। চেম্বার তা স্টে করে আবার ফুল কোর্টে দিয়েছেন। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে যা আছে- তাকে অগ্রাহ্য করে কোনো কোর্ট সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্বাচন করার সুযোগ দিতে পারে না।
তিনি বলেন, রোববার বেলা ১১টার মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে হবে। কারণ, কালই মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়ে যাবে। এরপর তো আর কেউ নতুনভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। আর আগামীকাল তারা ভিন্নতর আদেশ দেবেন এটা তো মনে হয় না। কারণ অ্যাপিলেট ডিভিশনকে তো ইউনিফর্ম অর্ডার দিতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিএনপি নেত্রী সাবিরা সুলতানার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, সুপ্রিমকোর্টের রোববারে সিদ্ধান্তের পরই শুধু বলা যাবে খালেদা জিয়াসহ আরও অনেকের ভাগ্যে কী ঘটবে।
তিনি বলেন, আজকে চেম্বার বিচারপতির কাছে দুপক্ষের শুনানি হয়েছে। আগামীকাল সকাল ৯টায় এ বিষয়টা শুনানির জন্য আসবে। আমরা আশা করছি যে, ১০টার মধ্যে বিষয়টা শুনানি হয়ে যাবে। শুনানির পর ফুল কোর্ট যদি হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশটা যদি বহাল রাখেন তাহলে সাবেরা সুলতানাসহ এ রকম যারা আছেন সবাই তার বেনেফিট পাবেন। আর যদি তা না হয়- তাহলে তো তাদের আর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
Discussion about this post