নোয়াখালীর হাতিয়ার জলদস্যু এমরান বাহিনীর প্রধান ১৬ মামলার আসামি এমরান হোসেন ওরফে এমরান ডাকাত (৩৫) ও তাঁর সহযোগী জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম ডাকাত (৩২) পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছেন।আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নোয়াখালী শহরের হাসপাতাল সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রীতিময় চাকমা ও অন্তিম চাকমা নামের দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।১২ ঘণ্টার মধ্যে পালিয়ে যাওয়া ওই দুই জলদস্যু ধরা না পড়লে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এমরানকে রোববার সকালে চট্টগ্রামের চন্দ্রনগর এলাকা থেকে বায়োজিদ বোস্তামি থানার পুলিশ আটক করে।পরে তাঁকে নোয়াখালী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।রাতে তাঁকে নোয়াখালী সদর (সুধারাম) থানায় রাখা হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে তাঁরা জামায়াত-শিবিরের সম্ভাব্য বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।সকাল ১০টার দিকে থানা থেকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে হাজতে থাকা দুই আসামি এমরান ও তাঁর সহযোগী বুকে ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানান।তিনি বলেন, ‘আমি তাত্ক্ষণিক দুই আসামিকে (এমরান ডাকাত ও সহযোগী জসিম) নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিত্সা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিই।থানা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুই কনস্টেবল আসামিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাসপাতাল সড়কে কনস্টেলকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান তাঁরা।’
এদিকে, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৬ মামলার আসামিকে মাত্র দুই কনস্টেবলের মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য প্রেরণ করা এবং একই সঙ্গে দুই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বুকে ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার কথা রহস্যজনক বলে জেলা শহরে বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে।
হাতিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়া জলদস্যু বাহিনীপ্রধান এমরানের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায়ই হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ ও অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে।এমরান হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
Discussion about this post