নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৬ জুলাই শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, গণতন্ত্রেরও বন্দি দিবস। কারণ ২০০৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার মধ্যদিয়ে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শেখ হাসিনার ‘কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ ধরনের কাজগুলোর যখন কেউ প্রতিবাদ করছিল না, আমাদের আপসহীন জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে কণ্ঠরোধ করার জন্য, গণতন্ত্রকে বন্দি করার জন্যই সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা অনুভব করতে বাধ্য হয়েছে যে, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়েও বন্দি শেখ হাসিনা অনেক বেশি শক্তিশালী।’ বাংলাদেশের মানুষ সেদিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে তারা বাধ্য হয়েছিল। শেখ হাসিনার মুক্তিলাভের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ ধস নামানো বিজয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিল। তাদের এই ভালোবাসার প্রতিদানে শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১১ বছর ধরে বাংলাদেশকে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার নেতৃত্বে গত সাড়ে ১১ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যোগ করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ এবং বাঙালি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর সামনে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখনও এক-এগারোর কুশীলবরা ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টায় লিপ্ত। যখনই দেশে কোনও বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়, আমরা দেখতে পাই তারা দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়। আবারও ছোবল মারার অপচেষ্টা চালায়।’ তাদের গতিবিধির ওপর সরকারের নজর আছে উল্লেখ করে দলীয় নেতাকর্মী গণতন্ত্রকামী সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ড. হাছান বলেন, ‘যে নেতৃত্বের প্রশংসায় আজকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, পৃথিবীর বরেণ্য নামকরা বহুল প্রচারিত পত্রিকাগুলো পঞ্চমুখ, তখন শেখ হাসিনাকে আজকের এই দিনে আমি অভিবাদন জানাই। শেখ হাসিনা আজ শুধু গণতন্ত্রের মানসকন্যা এবং গণতন্ত্রের মুক্তের প্রতীকই নন, শেখ হাসিনা আজ উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতীক, তাকে লাল সালাম।’
১/১১-এর কুশিলবদের বিচার প্রকৃতি করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ওই দিনই ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। পরে এই ঘটনা ওয়ান/ইলেভেন (১/১১) হিসেবে পরিচিতি পায়।
Discussion about this post