নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমানের পর এবার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ এবং অর্জুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গণধর্ষণের ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে ৯ জনকে আসামি করে শাহপরাণ থানায় গণধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দুটি লোহার পাইপ, প্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করে।
এজহারনামীয় আসামিরা হলেন এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী স্বামীকে সাথে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসে। এসময় ছাত্রলীগকর্মী এম. সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। এসময় ছাত্রলীগকর্মীরা ওই তরুণীর স্বামীর প্রাইভেট কারও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের প্রাইভেট কার উদ্ধার করে।
Discussion about this post