নিজস্ব প্রতিবেদক
ভাস্কর্য, ম্যুরাল, প্রতিকৃতি, স্ট্যাচু ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হওয়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা গড়তে ইসলামী ফাউন্ডেশন ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবকে গণমাধ্যমে প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদা সুলতানা যুথী ও এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। সঙ্গে ছিলেন, শাহ মনজুরুল হক। অন্যদিকে, ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম লাহিড়ী এ রিট করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যসহ দেশের সকল ভাস্কর্য ভাঙা ও বঙ্গবন্ধুর অবমাননার জন্য দায়ী ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।ভাস্কর্য, ম্যুরাল, মনুমেন্ট ও স্ট্যাচুর বিষয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমামকে (খবিত) এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সব গণমাধ্যমে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রিট আবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি স্বাধীনতার প্রতীক। তার ভাস্কর্য অরক্ষিত থাকবে এটা হতে পারে না। তাই রিটে বঙ্গবন্ধুর সব ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
Discussion about this post